সিবিএন আমার পরিচয়

প্রকাশ: ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ ০১:৪৭ , আপডেট: ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ ০৭:৩৩

পড়া যাবে: [rt_reading_time] মিনিটে


ইমাম খাইর:
১৪ ফেব্রুয়ারী ২০১৮, দশম বছরে পা রাখলো কক্সবাজার জেলার প্রথম ও জনপ্রিয় অনলাইন সংবাদমাধ্যম ‘কক্সবাজার নিউজ ডট কম’ (সিবিএন)। দিনটিতে সিবিএন-এর পাঠক, বিজ্ঞাপনদাতা ও শুভানুধ্যায়ীদের আন্তরিক অভিনন্দন জানাচ্ছি। কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি সংবাদের সোর্স ও তথ্যদাতাদের প্রতি।
২০১২ সালের নভেম্বর মাস। সম্ভবতঃ শেষ সপ্তাহের কোন একদিন সকাল বেলা, সিবিএন ভিজিট করছিলাম। একটা একটা করে নিউজ পড়ছিলাম।
অনলাইন বলতে ওই সময়ে বিকল্পও ছিলনা। অনেকটা সংবাদের উৎস হিসেবে বাধ্য হয়ে পড়া।
নিউজ পড়ার ফাঁকে কথা হয় সম্পাদক অধ্যাপক আকতার চৌধুরীর সাথে। সিবিএন-এর পথচলার অনেক অজানা কাহিনী শুনলাম তার কাছ থেকে। জানলাম অনলাইন চালানোর তিক্ত অভিজ্ঞতার বর্ণনা। বলে যাচ্ছিলেন অবলিলায় প্রিয় সম্পাদক ভাইয়া। আমিও কান পেতে শুনছিলাম, তো শুনছিলাম।
প্রসঙ্গক্রমে আকতার ভাই অফার করলেন, সিবিএন-এর সাথে কাজ করার। মিস করলাম না। লুফে নিলাম।
সেকাল থেকে আজ অবধি সিবিএন-এর সাথে আছি। প্রিয় মানুষটির সঙ্গে আছি।
মনে হয়, যেন একটি বটবৃক্ষের ছায়াতলে আছি।
বাসা, বাড়ী, ভ্রমণ যেখানেই যাই না কেন-সিবিএন (ল্যাপটপ) আমার সাথে থাকে। মুহুর্তের সংবাদ আপডেট দেয়া আমার নেশা ও পেশা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
একটি কথা না বললে নয়…
আমার প্রথম সন্তান আফিয়া তাহসিন ইমাকে ডাক্তার দেখাতে হাসপাতাল গেলাম। সাথে আমার স্ত্রীও ছিল। রোগীর সিরিয়াল দীর্ঘ। দেখলাম আমার সিরিয়াল আসতে আধা ঘন্টা সময় লাগতে পারে। সময়টা নষ্ট করলাম না। কাঁধে থাকা সিবিএন (ল্যাপটপ) নিয়ে বসে গেলাম হাসপাতালের ওযুখানার সিঁড়িতে। শুরু নিউজ আপডেট। নিউজ আপ দিতে দিতে ডাক্তার সাহেবান রোগী দেখে অন্য হাসপাতালে চলে গেলেন। হায়রে আফসুস! আমি আছি সিবিএন নিয়ে। বাচ্চাকে ডাক্তার দেখানে হলো না।
অবশ্য পরে অন্য ডাক্তারের কাছে গিয়ে চিকিৎসাপত্র সেরে নিই।তাতে শেষ নয়…
সকাল পেরিয়ে দুপুর। বিকাল গড়িয়ে সন্ধ্যা। অতঃপর রাত ২-৩টা পর্যন্ত সিবিএন। শুধু সিবিএন। সিবিএন যেন আমার মূল পরিচয়। এখনো সেই প্রচেষ্টা অব্যাহত।
নিউজ আপডেট দিতে গিয়ে কতো রাত যে ঘুমাইনি, হিসাব করা যাবেনা। রুমের লাইটের কারণে স্ত্রীর ঘুম হারাম করেছি- তার কোন ইয়াত্তা নেই। স্ত্রীর বকুনিও শুনেছি অনেকবার। এরপরও হাল ছাড়িনি সিবিএন-এর।
সিবিএন-এর নিউজের চাপে পড়ে মনে হয় গরম ভাত আমি খুব কমই খেয়েছি। অধিকাংশ সময় ঠান্ডা খেয়ে ঘুমিয়ে যেতে হয়েছে।
একারণে বুঝি, আমার মাথাও আগের চেয়ে বেশ ঠান্ডা। কেউ ক্ষ্যাপাতে চাইলেও তেমন ক্ষ্যেপিনা। যাক, এসব ভিন্ন প্রসঙ্গ। লিখতে চাইলে সিবিএনকে নিয়ে অনেক লিখা যাবে।
আবার আসি মূল কথায়…
আমার টার্গেট ছিল, সিবিএনকে আপডেট রাখবো। নিজে আপডেট থাকবো।
আলহামদুলিল্লাহ, আমি পেরেছি। অন্য দশজন সহকর্মীর চাইতে কিছুটা হলেও আপডেট। চেষ্টা করছি নিজের সততা, আন্তরিকতা ধরে রাখার।
আমি সিবিএনকে কি দিতে পেরেছি? জানিনা। সিবিএন আমাকে অনেক কিছু দিয়েছে। বিশ্বব্যাপী পরিচয় করিয়েছে। কৃতজ্ঞ সিবিএন।
স্যালুট, শ্রদ্ধাভাজন সম্পাদক অধ্যাপক আকতার চৌধুরী।
সিবিএন-এর যাত্রায় অনেকে ঈর্ষান্বিত হয়েছিলেন। কু-মতলবও ছিল কিছু জনের। কেউ সফল হয়নি। সবাই ব্যর্থ, সফল সিবিএন।
সিবিএন-সম্পাদকের শক্ত মনোবলে কেউ আঘাত করে সফল হয়নি। অভিষ্ট লক্ষ্যে ছুটছে সিবিএন। কালো অমানিশার ৯টি বছর পেরিয়ে আজ ১০ বছরে পৌঁছেছে সিবিএন। শুকর আলহামদুলিল্লাহ।
একটি কথা বলবার চাই…
কক্সবাজার নিউজ ডট কম (সিবিএন) কারো পক্ষে নয়। কারো বিপক্ষেও নয়। সাদাকে সাদা, কালোকে কালো বলতে আমরা শিখেছি। পক্ষপাতদুষ্ট সংবাদ আমরা করিনা। সত্য, বস্তুনিষ্ট সংবাদই আমাদের পরিচয়।
সত্য সংবাদে আমাদের দীক্ষা দিয়ে চলেছেন আমাদের সম্পাদক অধ্যাপক আকতার চৌধুরী। নির্মোহ সংবাদ সংগ্রহ ও পরিবেশনে আমরা কমিটেড।
সিবিএন-এর পরিবারে ২০১৬ সালের ডিসেম্বর থেকে যোগ হয়েছে প্রিয় অনুজ শাহেদ মিজান। সে চীফ রিপোর্টার হিসেবে ইতোমধ্যে দক্ষতার পরিচয় দিয়েছে। আমাদের সংবাদ টীমে রয়েছে আরো বেশ কয়েকজন মেধাবী সাংবাদিক।
আমরা চাই খবরের পেছনের খবরও তুলে আনতে। তাতে সিবিএন বদ্ধপরিকর।
আমাদের চলার পথ বহু দূর। ছুতে চাই মঞ্জিলে মকসুদ। যাত্রায় আরো বেশী সহযোগিতা, পরামর্শ ও দোয়া চাই।
আল্লাহ হাফেজ।

-ইমাম খাইর
যুগ্ম-বার্তা সম্পাদক
কক্সবাজার নিউজ ডট কম (সিবিএন)
০১৮১৫৪৭১৪০০
khaircox10@gmail.com